সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের নির্বাচনী প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও নির্বাচনী অফিস। ঘটনার জন্য দুই দলই পরস্পরকে দায়ী করেছে।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভূঁইয়ারহাট বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রদল কর্মী আকবর ও রুবেলসহ উভয় পক্ষের ২৬ জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে স্থানীয় ভূঁইয়ারহাট বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা ও পথসভা করছিলেন বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে বাজারে ঢুকলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় সংঘর্ষকারীরা একে অন্যের নির্বাচনী অফিস ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান ঢাকা টাইমসকে জানান, তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে ভূঁইয়ারহাটে পথসভা শেষে বের হওয়ার পথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের কয়েকজনেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তার নেতাকর্মীদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও চারটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এবিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনকে অবহিত করেছেন বলেও জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম ঢাকা টাইমসকে জানান, ধানের শীষের কর্মীরা ভূঁইয়ারহাট বাজারে নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে অন্তত ছয় নেতাকর্মীকে পিটিয়ে জখম করে। এসময় তারা কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। তিনি হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানান।
সূত্র: ঢাকা টাইমস
